ইতি আকতারের (২৫) স্বামী শরীফ বাবুল একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ওই দম্পতির ঘরে রয়েছে এক ছেলে, এক মেয়ে। বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কালীরডাঙ্গা গ্রামে। ইতি আকতার অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। তার সামান্য আয়ে তিন বেলা ভরপেট খাবার জোটে না চার সদস্যের পরিবারটির। অর্ধাহার অনাহার তাদের নিত্যসঙ্গী।
এমন দুরাবস্থা নিরসনে নিজের একটা কর্মসংস্থান সৃষ্টির স্বপ্ন ইতি আকতারের দীর্ঘদিনের। কিন্তু সে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অর্থ না থাকায় তা হয়নি বাস্তবায়ন। তার সেই অধরার স্বপ্ন পূরণ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে তিন মাস প্রশিক্ষণ শেষে তাকে প্রদান করা হয়েছে সেলাই মেশিন।
আজ সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত কামারপুকুর সরকারপাড়া গ্রামে শিশু স্বর্গ বিদ্যা নিকেতন চত্বরে এই সেলাইমেশিন প্রদান করা হয়। সেখানে ইতি আকতারের মতো সেলাইমেশিন দেওয়া হয়েছে ২০ দুস্থ নারীকে।
সেলাই মেশিন পেয়ে ইতির মনে ফিরেছে স্বস্তি, দেখছেন নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন। তিনি বলেন, ‘ফ্রিতে তিন মাস কাপড় সেলাই করা শিখুনি। এখন নতুন সেলাই মেশিন পানু। এই সেলাই মেশিনটা দিয়া মানুষের কাপড় সেলাই করি আয় রোজগার করিম। এইটা মেশিন দিয়া পঙ্গু স্বামী আর ছেলে মেয়ের দুই বেলার খাবার জুটাইম’।
তিনি বসুন্ধরার গ্রুপের মালিকের জন্য আল্লাহ দরবারে দুই হাত তুলে দোয়া করেন।
ইতি বেগমের মতো বসুন্ধরা শুভসংঘ থেকে সেলাইমেশিন পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রাবেয়া বেগম (২৫)। এই গৃহবধূর স্বামী বাসের হেলপারের কাজ করেন। শ্বশুর-শাশুড়ি ও এক মেয়ে সন্তান নিয়ে তার পরিবার। সৈয়দপুর শহরের বাঙালীপুর নিজপাড়ার এলাকার রেলওয়ে জমিতে বসবাস করেন তারা। স্বামীর প্রতিদিনের সামান্য আয়ে সংসার চলে না। তাই বেশিরভাগ সময় উপোস করতে হয় পরিবারের সদস্যদের। সেলাই মেশিন পেয়ে তিনিও ফিরে পেয়েছেন মনোবল।
প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেলাই কাজের আয়ে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরানোর। তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পায়া সেলাই মেশিন পাইনু। এলা এই মেশিন দিয়া কাজ করি রোজগার করির পারিম। স্বামীর রোজগার দিয়া সংসার ভালোমতন চলে না। আশা করেছ দুই জনের রোজগার দিয়া সংসারা ভালো চলিবে।’
দেশের শীর্ষস্থানীয় বসুন্ধরা গ্রুপের সেলাই মেশিন পেয়ে রাবেয়া এবং ইতির মতো আরও অনেকের বেড়েছে আত্মবিশ্বাস। তারা সকলেই চান সেলাই কাজের আয় দিয়ে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে। সৈয়দপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ২০ জন অসচ্ছল নারীকে তিন মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এসব নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বসুন্ধরা গ্রুপ প্রদান করে সেলাই মেশিন।
সোমবার এসব মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা শুভসংঘের সৈয়দপুর শাখার সভাপতি মো. নাছিম রেজা শাহের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলামের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল কালাম আজাদ, সৈয়দপুর থানার ওসি মো. ফইম উদ্দিন, সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক শওকত হায়াৎ শাহ, হাজারীহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান চৌধুরী, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির হাফেজ মাওলানা মো. আব্দুল মুনতাকিম, সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় পরিচালক জাকারিয়া জামান, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডট কমের জেলা প্রতিনধি মো. আমিরুজ্জামান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন কালের কণ্ঠের সৈয়দপুর প্রতিনিধি তোফাজ্জল হোসেন লুতু। এসময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. মামুন, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত রাফি, সদস্য ফরিদ মিয়া, আমিনুর রহমান, কালের কণ্ঠের নীলফামারী প্রতিনিধি ভুবন রায় নিখিল, নিউজ টোয়েন্টিফোরের নীলফামারী প্রতিনিধি আব্দুর রশীদ শাহ, বসুন্ধরা শুভসংঘ সৈয়দপুর শাখার সহ-সভাপতি মতিউর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক মুন্না দাস, সদস্য মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।
SOURCE : News 24বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী ২৯ হাজার পরিবার
Bashundhara Foundation’s Interest-Free Loans Empower 29,000 Families to Become Self-Reliant
দুর্গাপুরে এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করল বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Educational Materials Among Orphans and Underprivileged Students in Durgapur
বাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ৬০ নারীকে সেলাই মেশিন বিতরণ
60 Underprivileged Women Receive Sewing Machines in Bancharampur through Bashundhara Shuvosangho
নারায়ণগঞ্জে অসহায় বিধবা রামরতি রবিদাসের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Supports Struggling Widow Ramrati Rabidas in Narayanganj
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে পাবনায় ১০০ নারী পেলেন সেলাই মেশিন
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী হাজারো পরিবার