কথাসাহিত্যিক, বসুন্ধরা মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও কালের কণ্ঠ প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেছেন, বসুন্ধরা গ্রুপ মানুষকে মানুষ হিসেবে তৈরি করা, স্বাবলম্বী করা এবং শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার ব্রত নিয়ে কাজ করছে। গতকাল দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গোঘাট এলাকায় বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে শিক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ইমদাদুল হক মিলন উল্লেখ করেন, কামারজানি এলাকায় এই স্কুলটি আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আমরা এরকম স্কুল প্রতিষ্ঠা করছি এবং অসচ্ছল নারীদের সচ্ছল করার জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করছি। আমাদের এই স্কুল বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল এবং বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যেখানে আমরা ২৫ থেকে ৩০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় নিজস্ব জমি কিনে ভবন তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছি। নিজস্ব এসব ভবনে স্কুল, সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং একটি করে পাঠাগার করা হবে।
ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে। সে অনুযায়ী আমরা মানুষকে শিক্ষিত করার জন্য কাজগুলো করছি। তিনি বলেন, প্রতিটি অঞ্চলের মেধাবী ছেলেমেয়েরা অর্থের অভাবে পড়তে পারে না, তাদের পড়ানোর দায়িত্বটাও বসুন্ধরা শুভসংঘ নিয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপ এভাবেই মানুষকে মানুষ হিসেবে তৈরি করা এবং শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার ব্রত নিয়ে চলছে। ‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানকে সামনে রেখে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ও বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে এদিন ৫০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ স্কুল ড্রেস, স্কুল ব্যাগ ও খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় এই স্কুলের ছাত্রছাত্রী স্কুল ড্রেস ও শিক্ষা উপকরণ পেয়ে আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠে। তাদের অভিভাবকরা এ জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি অমিতাভ দাস হিমন, নিউজ ২৪-এর জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম প্রিন্স, বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর জেলা প্রতিনিধি সাইফুল মিলনসহ অনেকে। এ অনুষ্ঠানে শিশু শ্রেণিতে পড়ুয়া মোনালিসা আক্তার মাফিয়ার মা জরিনা বেগম ও ওই শ্রেণির আবদুুল্লা আল মামুনের মা মমেনা বেগম বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়ে স্কুল দূরে থাকার কারণে স্কুলে যাইত না। আমরা গরিব মানুষ, বসুন্ধরার স্যারেরা এখানে একটা স্কুল দিছে। আমার মেয়ে এখন এই স্কুলে পড়ে। এখানে স্কুল ড্রেস থেকে শুরু করে সবকিছু পাচ্ছে, এতে আমরা খুব খুশি।’ বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষক রিতা আক্তার বলেন, ‘আমাদের এখানে ১ থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল নেই। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই মহতি উদ্যোগের কারণে এ এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা লেখাপড়া শিখতে পারছে। আমিও অত্যন্ত খুশি যে, এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের লেখাপড়া শেখাতে পারছি। এ জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিনদেশব্যাপী অসচ্ছল নারীরা পেলো বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন
Bashundhara Shuvosangho Gave Sewing Machines to Poor Women from Across the Country
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রাণের উৎসব
Bashundhara Group’s Festival of Life with Children with Special Needs
ভোলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের কম্বল বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distribute Blankets in Bhola
বাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ
Bashundhara Foundation Distributes Interest-Free Loans in Bancharampur
কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের কম্বল বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distribute Blankets in Kushtia