বই উৎসব শেষে গাইবান্ধা সদরের কামারজানি বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপহার হয়ে এলো কম্বলের উষ্ণতা। শিশু ও প্রথম শ্রেণির ৬০ শিক্ষার্থীর মুখে ফুটল আনন্দের হাসি। বসুন্ধরা শুভসংঘ গাইবান্ধা জেলা শাখা এই কম্বল বিতরণের আয়োজন করে।
কম্বল পেয়ে প্রথম শ্রেণির দুরন্ত রহিম মিয়া বলে, ‘ব্রহ্মপুত্রের বান্ধের পাশে হামাগের টিনের বাড়ি।
ফাঁক দিয়্যা খানি হাওয়া শনশন করিয়্যা ঢুকে। জারোতে (শীতে) মায়ের সাথে ক্যাথার তলাত বড় কষ্ট। আজ থাকিয়্যা এই কম্বল জড়েয়া শুতম। আর কষ্ট হবা নোয়ায়।’
একই ক্লাসের আশামনি কম্বল আর ক্লাশের নতুন বই আগলাতে ব্যতিব্যস্ত। সে বলল, ‘আব্বোক এংকা এখ্যান কম্বলের কথা কসিলাম। তাই কলো, একস্যা (রিকশা) টানিয়া ট্যাকা জমাবার নাগচে। আগামী মাসের আগে হবার নয়।
এখন ইস্কুল থাকিয়্যা দিলেন, আব্বোক আর কষ্ট করা নাগব্যা নোয়ায়।’
আশামণির মা রাহেলা বেগম বললেন, ‘এই স্কুলটার সবার মন অনেক বড়। কালই জুতার মাপ নিয়েছে। কম্বল ছিল বাড়তি পাওয়া। আল্লাহ বসুন্ধরার সবার হায়াত দারাজ করুক।’
কম্বল পেয়ে ভারি খুশি শিশু শ্রেণির সমাপ্তি, সান্ত্বনা, রুমি, জান্নাতি, রওজামণিরাও।
আজ বিকেলে স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক অমূল্য কুমার সাহা জান্নাতির শরীরে কম্বল জড়িয়ে দিয়ে শুরু করেন কম্বল বিতরণ পর্ব। তাকে সহযোগিতা করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, কেন্দ্রীয় কমিটির আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মুসলেমিনা সুলতানা, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক জয় কুমার দাস, সদস্য শাম্মী জাহান, শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা রীতা ও নীলা আক্তার , তৌফিক মাহমুদ ও কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি ও স্কুল সমন্বয়ক অমিতাভ দাশ হিমুন।
অমূল্য চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া জনপদ গাইবান্ধা সদরের কামারজানি। বেশির ভাগ মানুষ কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালক। তাদের পক্ষে সন্তানদের নতুন বা পুরনো গরম কাপড় কিনে দেওয়া কঠিন। বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের পক্ষ থেকে এই উপহার বড্ড সময়োপযোগী। কারণ নদের ওপর দিয়ে সন্ধ্যা হতে না হতেই হুহু করে ঠাণ্ডা হাওয়া আসে। টিন আর খড়ের ঘরে টেকা মুশকিল। তবে এ রকম শিশু আরো আছে, যারা স্কুলে আসে না।’
তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে আরো শীতবস্ত্রের জন্য আবেদন জানাই। আমরা চাই এই এলাকার দুস্থ পরিবারের শিশুদের জন্য স্কুলটিকে স্থায়ী রূপ দেওয়া হোক।’
বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক জানান, ২০২২ সালে স্কুলটি স্থাপনের পর থেকে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের পড়াশোনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তারা কয়েক দিনের মধ্যে কেন্দ্র থেকে স্কুলের পোশাক, ব্যাগ, জুতা, খাতা, কলম, পেনসিল, বেঞ্চসহ অন্যান্য উপকরণ পাবে।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে এই এলাকার অসহায় ২০ নারীকে স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তারা একটি করে সেলাই মেশিন পাবেন।
স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা রীতা জানান, শিশু ও প্রথম শ্রেণিতে আপাতত ৬০ জন শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করছে। তবে এ সংখ্যা আরো বাড়বে। দুইজন শিক্ষক নিয়মিত পাঠদান করছে। প্রচণ্ড এই শীতে শিশু ও অভিভাবকরা কম্বল পেয়ে খুশি।
SOURCE : কালের কণ্ঠবসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী ২৯ হাজার পরিবার
Bashundhara Foundation’s Interest-Free Loans Empower 29,000 Families to Become Self-Reliant
দুর্গাপুরে এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করল বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Educational Materials Among Orphans and Underprivileged Students in Durgapur
বাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ৬০ নারীকে সেলাই মেশিন বিতরণ
60 Underprivileged Women Receive Sewing Machines in Bancharampur through Bashundhara Shuvosangho
নারায়ণগঞ্জে অসহায় বিধবা রামরতি রবিদাসের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Supports Struggling Widow Ramrati Rabidas in Narayanganj
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে পাবনায় ১০০ নারী পেলেন সেলাই মেশিন
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী হাজারো পরিবার